ডিএমপি নিউজ: রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭ কোটি ৩৫ লক্ষ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মোঃ আবু তালেব।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর, ২০২১) রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
শনিবার (২৭ নভেম্বর, ২০২১) বেলা ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের সামনে পাকা রাস্তার উপর একজন নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার হেফাজত হতে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা হতে আরও ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা হতে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মোঃ আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন যাবৎ পাকিস্তান হতে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশিয় চক্রের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতো। গত ২৩ নভেম্বর, ২০২১ তারিখে গ্রেফতারকৃত তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা অপর গ্রেফতারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করে। গ্রেফতারকৃত তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান হতে আমদানীকৃত মার্বেল পাথরের ৫০০ টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দ্বারা চিহ্নিত ৯৫ টি বস্তার মধ্যে সুকৌশলে উক্ত ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে জাল টাকা সংক্রান্তে মতিঝিল থানায় মামলা রুজু হয়েছিলো বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। রিমান্ড আবেদনসহ তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) ইফতেখায়রুল ইসলাম, পিপিএম এর সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) মোঃ হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।