চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১ হাজার ১০৪ কোটি ১৯ লাখ (১১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত অর্থবছরের এই সাত মাসে ৯০৯ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে এসেছে ১ হাজার ১০৪ কোটি ১৯ লাখ ডলার। শতাংশ হিসাবে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আর একক মাস হিসেবে গত জানুয়ারিতে দেশে ১৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রেমিট্যান্স বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছর রেমিট্যান্সের জন্য সুখরব নিয়ে শুরু হয়েছিল। প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে এসেছিল ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। অক্টোবর মাসে আসে ১৬৪ কোটি ডলার। নভেম্বরে এসেছিল ১৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারির চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
অর্থবছর হিসাবে ২০১৮-১৯-এ ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল আরো বেশি। সে অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছিল।
বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উত্সাহ দিতে রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। প্রবাসীরা এখন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে যার নামে টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি ঐ ১০০ টাকার সঙ্গে ২ টাকা যোগ করে ১০২ টাকা তুলতে পারছেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই বৈদেশিক মুদ্রা।