ভারতীয় এক যুবক জয়েশ প্যাটেল, বয়স ৩২ বছর। সে ৮১ বছরের বৃদ্ধের ছদ্মবেশ ধরে জাল পাসপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশি এবং ইমিগ্রেশন পার হয়ে প্রায় উঠেই যাচ্ছিলেন বিমানে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন ।
জয়েশ প্যাটেল বিমানবন্দরে এসেছিলেন হুইলচেয়ারে চড়ে। তার মুখভর্তি সাদা দাড়ি, চোখে ভারী লেন্সের চশমা। পাথায় পাগড়ি। প্রথম দেখায় তাকে ৮১ বছরের বৃদ্ধের মতই লাগছিল।কিন্তু খুব কাছ থেকে তাকে দেখে কয়েকজন কর্মকর্তার সন্দেহ হলো।
“তার বয়স ৮০ বছর হতেই পারে না। তার মুখের ত্বক একজন তরুণের মতো,” সিএনএন টেলিভিশনকে বলছিলেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের একজন কর্মকর্তা। পরবর্তীতে আরেকটি নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়, কারণ মি. প্যাটেল তার হুইলচেয়ার থেকে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন এই বলে যে তিনি বয়সের ভারে দাঁড়াতেই পারেন না।
এরপর তার কাগজপত্র চাইলে তিনি তার পাসপোর্ট এগিয়ে দেন। সেখানে তার নাম ছিল আমরিক সিং। পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ১৯৩৮ সালে দিল্লিতে তার জন্ম।
সিআইএসএফ এর কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্টের বয়সের সঙ্গে তার মুখের চামড়া অনেক তরুণ কারও বলে মনে হচ্ছিল। জেরার মুখে এরপর জয়েশ প্যাটেল স্বীকার করেন যে তিনি আমরিত সিং নন। জাল পাসপোর্টে বৃদ্ধ মানুষের ছদ্মবেশে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এরপর তাকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, মি. প্যাটেলের বাড়ি গুজরাটে। তিনি এক দালালের মাধ্যমে এই জাল পাসপোর্ট তৈরি করেন। ঐ দালালই তার বেশ-বাস এবং বৃদ্ধ মানুষের ছদ্মবেশ- সবকিছু ঠিক করে দেয়।