ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ২০২০ উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কোরবানীর পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদ-উল-আযহা ২০২০ উপলক্ষে পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোরবানির হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালা, কাঁচা চামড়া পাচার রোধ এবং ক্রয়-বিক্রয়কালে ব্যবস্থা, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঈদ পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে–
১। কোরবানির পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২। পশুর হাট কেন্দ্রিক সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
৩। প্রতিটি পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
৪। প্রতিটি পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে।
৫। পশুর হাট কেন্দ্রিক মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা থাকবে।
৬। কন্ট্রোলরুম এবং প্রতিটি থানায় মানি এস্কর্ট টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে।
৭। কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হবে।
৮। পশুর হাটের চৌহদ্দির বাহিরে হাট বসতে দেয়া হবে না।
৯। বলপূর্বক পশুবাহী ট্রাক/নৌকা আটকিয়ে অন্য হাটে নামানো যাবে না।
১০। নির্ধারিত হারে হাসিল আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
১১। হাসিলের হার বড় ব্যানার/ফেস্টুনের মাধ্যমে দৃশ্যমান রাখতে হবে।
১২। জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্যান্য অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকারী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৩। পশুর বিক্রয়লব্ধ টাকা ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে।
১৪। অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম ও ওয়াচ টাওয়ারে জন সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপন করা হবে।
১৫। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করা।
১৬। করোনা সংক্রমন ঝুঁকি এড়াতে অনলাইন ভিত্তিক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে পশু বিক্রির জন্য উৎসাহিত করা।
১৭। সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম ও ভেটেরিনারী অফিসার (পশুর ডাক্তার) নিয়োজিত রাখতে হবে।
১৮। হাট এলাকার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
১৯। পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং ফায়ার টেন্ডার মোতায়েন রাখতে হবে।
২০। ইজারাদারদের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তার মধ্যে- নির্ধারিত তারিখের পূর্বে হাটে পশু না আনা, চৌহদ্দির বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা, চৌহদ্দির বাহিরে হাট না বসানো, পশু বহনকারী ট্রাকের সামনে হাটের নাম ব্যানারে লিখে রাখা, এক হাটের পশু অন্য হাটে না নামানো, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, হাট এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত সংখ্যক সেচ্ছাসেবক দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ নিয়োগ করা, টাকা পরিবহনে পুলিশের মানি এস্কর্ট সেবা গ্রহণ করা, হাটের মধ্যে স্থায়ী খাবারের দোকান স্থাপন করা এবং কোরবানির পশু ব্যবসায়ীগণকে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট দেওয়া ও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা।