প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। আগামী বছর মে মাসে ঢাকায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এর আগে ২০১৫ সালে ১২-১৪ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ১৮টি দেশ এবং বাংলাদেশ সরকারের ৫০ জন প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামী সম্মেলনেও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে ‘ডিসএবিলিটি ইনক্লুসিভ ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে জাতীয় টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ‘ডিসএবিলিটি ইনক্লুসিভ ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা সায়মা হোসেন পুতুল। এছাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালসহ টাস্কর্ফোসের অন্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছরের মে মাসে ঢাকায় প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সারা দেশে প্রতিবন্ধীদের সঠিক তালিকা তৈরি করে সার্বিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে তাদের সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। সারা দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৪১ হাজার ১৪৯ জন। বন্যা-ঘূর্ণিঝড় প্রবণ ১৯ জেলায় চার লাখ ১৯ হাজার প্রতিবন্ধী রয়েছে। সারা দেশে প্রতিবন্ধীদের সঠিক তালিকা তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে তৈরি করা তালিকা প্রতিমাসে আপডেট করা হয়। এদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও তাদের সুনাগরিক হিসেবে আমরা রাখতে চাই। তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয়, তারা যেন অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক গৃহীত কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
এর আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয়সহ প্রতিবন্ধী নিয়ে যে সব মন্ত্রণালয় কাজ করছে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন। তারা অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সভায় দুর্যোগ সচিব শাহ কামাল বলেন, আইনি কাঠামোতে প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা আইন, নীতিমালায় সেগুলো সংযুক্ত করেছি। ট্রমা থেকে মুক্তির জন্য এ পর্যন্ত ২১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে। জাইকার সহযোগিতায় আরো ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবো। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষক এনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তারা জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেবে। গত দুই বছরে বাংলাদেশের যে অবস্থা ছিল, এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষেত্রে শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানান তিনি।