টেস্ট ক্রিকেটের জৌলুস ফেরাতে সর্বস্তরে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের কৃত্রিম আলোয় দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার দিকে বড়সড় পদক্ষেপ বলেই বিবেচিত হচ্ছে। তবে সচিন তেন্ডুলকর মনে করেন টি-২০’র রমরমার যুগে শুধু টেস্ট ক্রিকেটকেই নয়, ৫০ ওভারের ক্রিকেটকেও আরও আকর্ষণীয় করে তোলার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
সেই লক্ষ্যে ওয়ান ডে ক্রিকেটে একটি বড়সড় রদবদলের প্রস্তাব দিয়েছেন লিটল মাস্টার। তিনি চান টেস্টের মতো ওয়ান ডে ক্রিকেট হোক ২টি করে মোট ৪টি ইনিংসের। ২৫ ওভারের প্রতি ইনিংসে ওয়ান ডে ক্রিকেটকে ভেঙে দিলে তা আরও উত্তেজক রূপ নেবে বলেই বিশ্বাস তেন্ডুলকরের।
সচিন বলেন, ‘৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে সবার আগে নজর দেওয়া উচিত। আমার মনে হয় ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ফর্ম্যাট বদলানো দরকার। ৫০ ওভারকে ২৫ ওভারের দু’টি ইনিংসে ভেঙে দেওয়া উচিত। প্রতি ইনিংসের মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। ধরে নেওয়া যাক এ-টিম ও বি-টিমের মধ্যে ওয়ান ডে ম্যাচ খেলা হচ্ছে। এ-টিম প্রথমে ২৫ ওভার ব্যাট করবে। বিরতির পর বি-টিম ২৫ ওভারের একটি ইনিংস খেলবে। পুনরায় একটি বিরতির পর যতগুলো উইকেট হাতে আছে তাই নিয়ে এ-টিম দ্বিতীয়বার ২৫ ওভার ব্যাট করতে নামবে। শেষমেশ যা টার্গেট দাঁড়াবে শেষ ২৫ ওভারে তা তাড়া করবে বি-টিম। যদি কোনও দল প্রথম ২৫ ওভারের মধ্যে অল-আউট হয়ে যায়, তবে অপর দল টার্গেট তাড়া করার জন্য ৫০ ওভার হাতে পাবে। মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে।’
সচিন মনে করেন পাওয়ার প্লে’র ফর্ম্যাটও বদলানো দরকার। দু’দলের ২টি করে মোট ৪টি ইনিংসে খেলা হলে ৫ ওভার করে প্রতিটি ইনিংসে পাওয়ার প্লে থাকবে। ইনিংসের যে কোনও সময়ে ব্যাটিং দল ৩ ওভার এবং বোলিং দল ২ ওভারের পাওয়ার প্লে নিতে পারবে।
এমন পরিবর্তনের ফলে খেলা শুধু আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এমনটাই নয়, সচিনের মতে বৃষ্টিতে মাঝপথেই ভেস্তে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে বহু ম্যাচ। অনেক সময় বৃষ্টিতে ম্যাচের গতি বাধা পেলে ২৫ ওভারের প্রতি ইনিংস হওয়ায় ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে। শিশির সমস্যায় বেশিরভাগ সময়ই কোনও একটি দলকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে টস নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায়। ২টি করে ইনিংসে ভাঙা হলে উভয় দলই কমবেশি শিশির সমস্যায় পড়বে অর্থাৎ লড়াইয়ে সমতা ফিরবে।