ডিএমপি নিউজ: দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীকে উপজীব্য করে সত্যাশ্রয়ী গবেষণালব্ধ নাটক ‘‘অচলায়তনের অপ্সরী’’ এর ৭ম মঞ্চায়ন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল হলে এ নাটকের মঞ্চায়ন করা হয়। পুলিশ থিয়েটারের চতুর্থ প্রযোজনায় বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ এ নাটকের মঞ্চায়ন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাট্যজন।
নাটকটির কাহিনী:
দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে বিক্রি হওয়া এক তরুনী নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে উপলব্ধি করে প্রভাবশালীদের দ্বারা তৈরি এটি একটি শক্ত অচলায়তন। উপলব্ধি করে কোন স্বাধীনতা কোন মানবাধিকার নেই এখানকার বাসিন্দাদের। এমনকি এদের সন্তানরাও এই অচলায়তনে বন্দী। তাদের কণ্যা সন্তানরা বাধ্য হন মায়ের পেশা গ্রহণ করতে। এরই মধ্যে দেখা পায় একজন পুলিশ অফিসারের। যিনি এগিয়ে আসেন এদের মানবাধিকার রক্ষায়। প্রচেষ্টা চালান তাদের সন্তানদের সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসতে। উদ্যোগ গ্রহণ করেন মৃত্যুর পর এখানকার মেয়েদের লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থা করার। যে লাশ গুলি পূর্বে ভাসিয়ে দেয়া হতো নদীর পানিতে। পতিতাপল্লীর নাম বদলে করে দেন “দৌলতদিয়া বাজার পূর্ব পাড়া”। ওই পুলিশ অফিসারকে সহায়তা করতো মেয়েটি। একারনেই প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে সে। খুনের অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীকে উপজীব্য করে সত্যাশ্রয়ী, গবেষনালব্ধ “অচলায়তনের অব্দরী” নাটকটির কাহিনী এভাবেই গড়ে উঠেছে। যেখানে আরো দেখা যায় সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে থাকলেও তাদের মধ্যেও রয়েছে কমিউনিটি বন্ধন। তাদেরও নাড়া দেয় মাতৃস্নেহ, তাদের মধ্যে ও জাগে প্রেম, তাদের মধ্যে ও রয়েছে শ্রেণী চেতনা, তারাও চায় সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসতে।
‘‘অচলায়তনের অপ্সরী’’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহিদুর রহমান।