ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এমন কোন স্কুল থাকবে না, যেটিতে কম্পিউটার ল্যাব থাকবে না। তিনি বলেন এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি ক্লাসরুম কে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফকীর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক জালাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রাকিব খান এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন জুঁই বক্তৃতা করেন ।
মন্ত্রী প্রযুক্তির পরিবর্তনের ফলে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরে বলেন, আগামী দিনের শিক্ষা হবে ডিজিটাল শিক্ষা, প্রচলিত শিক্ষা আর থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ যে চমক দেখিয়েছে, কোন দেশ এ সময়ের মধ্যে তা পারেনি।
সরকারি অফিস আদালতের অবস্থাও এখন পাল্টে গেছে। বিদেশে বসেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অফিস করা যায়। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি করছে।তিনি বর্তমান প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে বলেন, আমরা তরুণদের চোখে মুখে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখছি। সামনে এমন একটা দিন অপেক্ষা করছে, যেদিন প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও শহরের সুবিধা পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী নারী শিক্ষা বিস্তার ও প্রসারে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন শতকরা ৫৩ ভাগ শিক্ষার্থী নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী কর্মসূচির নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছে।
মোস্তফা জব্বার শিশুদেরকে কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শিশু উপযোগী নিরাপদ ইন্টার্নেট নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যেই ২০ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ক্ষতিকর যে কোন কনটেন্ট বন্ধ করতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফ্রি ওয়াইফাই জোন এর আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠানকে সুবিধার আওতায় আনা হবে।
পরে মন্ত্রী দৌলতদিয়ায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কেকেএস সেফ হোম পরিদর্শন করেন।