বাজারে নতুন স্মার্টফোন আনল নোকিয়া। ৭.১ নামে ফোনটি গত মাসের লঞ্চ হয়েছিল ইউরোপের কিছু দেশে। ফোনটা নতুন, তবে এতে নতুনত্ব কতটা? দেখে নেওয়া যাক।
ডিজাইন: গত বছর আইফোন টেন লঞ্চ করে প্রথমবার বাজারে নচযুক্ত ফোন আনে অ্যাপল। তারপর থেকে একের পর এক ফোন নির্মাতা সেই নকশাকে অনুকরণ করেছে। নোকিয়ার এই ফোনটিতেও সেই একঘেয়ে নচ। তবে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি বলে একটা প্রিমিয়াম লুক আছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি মোবাইলের পিছনের দিকে বলে ব্যবহার করা সহজ।
স্টোরেজ ও প্রযুক্তি: নোকিয়ার অন্যান্য ফোনের মতোই এটিও অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান প্রযুক্তি নির্ভর। অর্থাত্ বিভিন্ন সিকিউরিটি আপডেট খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে। এই প্রযুক্তি সাধারণভাবে কম মেমরি ব্যবহার করে, তাই ফোন দ্রুত কাজ করে। প্রাথমিক ভাবে অ্যান্ড্রয়েড ওরিও থাকলেও এটি অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ বা অ্যান্ড্রয়েড পাই-তে উন্নীত করা যাবে।
অন্যান্য মিডরেঞ্জ ফোনগুলোর মতোই ৪জিবি র্যাম, ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং ৩জিবি র্যা ম, ৩২ জিবি ইন্টারন্যাল স্টোরেজের দু’টি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। তবে মাইক্রো এসডি কার্ড লাগিয়ে ৪০০ জিবি অবধি এই মেমরি বাড়ানো যায়।রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৩৬ প্রসেসর।
ক্যামেরা: ফোনটির ডুয়াল ব্যাক ক্যামেরার একটি ১২ মেগাপিক্সেলের অপরটি ৫ মেগা পিক্সেলের। সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। তবে যেহেতু নোকিয়া কার্ল জাইস লেন্স ব্যবহার করে, তাই আর পাঁচটা বাজার-চলতি ফোনের তুলনায় এর ক্যামেরার গুণগত মান ভাল।
ব্যাটারি: ফোনটির ব্যাটারি ৩০৬০ এমএএইচ-এর। সেইসঙ্গে রয়েছে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা। মাত্র আধ ঘণ্টায় অর্ধেক চার্জ হয়ে যায় ফোনটি।
দাম: যেকোনও ফোন বিক্রি হওয়ার অন্যতম শর্ত কিন্তু সেটির দাম। এটির দাম ১৯,৯৯৯ টাকা। প্রতিযোগী আর পাঁচটা ফোনের তুলনায় যা খানিকটা বেশিই। শাওমির সমগোত্রীয় এমআই এ টু ফোনটি ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সেটির ব্যাটারিও ৪০০০ এমএএইচের।
নতুন করে ভারতের বাজারে আসার পর নোকিয়া এখনও সেভাবে বাজার ধরতে পারেনি। এই মুহূর্তে শাওমি এবং ভিভোর ফোন যেমন জনপ্রিয় তেমনই গুণগত মানও ভাল। তাই কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে নোকিয়ার এই নতুন ফোন গ্রাহক পায় কি না, সেটাই দেখার।