ডিএমপি নিউজঃ কাজের কারণে বা বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে অনেক সময় আমাদেরকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলাচল করতে হয়। রাস্তায় চলতে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পরে কেউ কেউ রিকশা থেকে পরে গিয়ে গুরুতর আহত হচ্ছেন। কখনো বা যাচ্ছে মহামূল্যবান প্রাণ। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজন নিজেদের সচেতনতা। আমাদের সবার সচেতনতায় হয়ে উঠতে পারে একটি নিরাপদ জীবনের বলয়। মহানগরীতে ভ্রমণকালে নিজেকে অক্ষত ও নিরাপদ রাখতে সতর্কতার সাথে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন-
১. রিকশায় চড়ে কোথাও যাওয়ার সময় কোলে ব্যাগ রাখবেন না। মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে ছিনতাইকারী এসে হ্যাঁচকা টান দিতে পারে। এতে করে আপনি রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হতে পারেন। ব্যাগ থাকলে তা দুই যাত্রীর মধ্যখানে রাখবেন। যাত্রী একা থাকলে নিরাপদভাবে ব্যাগ রাখবেন অথবা রিকশা চলাচলের সময় যে পাশ বা লেইন দিয়ে সাইকেল,মোটরসাইকেল বেশী চলে তার বিপরীত পাশে আপনার ব্যাগ রাখার চেষ্টা করুন।। রিকশায় যাতায়াতের সময় হুড তুলে রাখবেন।
২. অনুমোদিত রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহনে যাতায়াত করুন। অনুমোদন বিহীন যানবাহনে যাতায়াত পরিহার করুন। অ্যাপস ব্যবহারের সুযোগ থাকলে অ্যাপসের সহায়তা নিয়ে যানবাহন ব্যবহার করুন।
৩। মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার কিংবা সিএনজিতে অচেনা ও অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে চলাচল থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে কোনো গাড়িতে উঠার পূর্বে গাড়ির নাম্বার টুকে রাখুন অথবা ছবি তুলে কাছের কাউকে সেই নাম্বার ও ছবি মেসেজ করে রাখুন। মেসেজে কি ধরনের গাড়ি সেটাও উল্লেখ করুন।
৪. নির্জন রাস্তা বা গলিপথ দিয়ে একাকী চলাচল হতে বিরত থাকুন। বিশেষ করে খুব ভোরে রাস্তায় চলাচল করা থেকে এড়িয়ে চলুন। বিশেষ প্রয়োজনে সতর্কতা অবলম্বন করে কাউকে সাথে নিয়ে যাতায়াত করুন।
৫। রাতে আলোকিত পথে চলাচলের চেষ্টা করুন। অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে আলোকিত পথ অধিকতর নিরাপদ।
৬। শহরে চলাচলের সময়ে যানবাহনে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে ওয়ালেট বা মোবাইল ফোন রাখা নিরাপদ নয়। প্রয়োজনে ওয়ালেটটি সামনের পকেটে রাখুন। মোবাইলটি হাতে রাখতে পারেন। তাহলে ছিনতাইকারীরা সহজে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
৭। থানার মোবাইল নম্বর সর্বদা নিজের মোবাইল ফোনে এবং মানিব্যাগে সংরক্ষণ করুন যেন প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সাহায্য পেতে পারেন।
৮। থানার মোবাইল নম্বর না থাকলে ৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন করে প্রয়োজনীয় পুলিশ সেবা নিন।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি আপনার নিজের সচেতনতাই পারে আপনাকে আসন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচতে। মহানগরীকে নিরাপদ রাখতে ডিএমপি সবসময় আপনার পাশেই রয়েছে।