ডিএমপি নিউজ : মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার কেন্দ্রিক ট্রাফিক প্রেসার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষের সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন ২০২৪ খ্রি.) ট্রাফিক ওয়ারি, লালবাগ এবং মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে হানিফ ফ্লাইওভার এর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ওরিয়ন গ্রুপের সাথে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার)। সঞ্চালনায় ছিলেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। এসময় ওরিয়ন গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এরফানুল আজিম, ট্রাফিক ওয়ারি, মতিঝিল, লালবাগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভায় ওরিয়ন গ্রুপ কর্তৃক হানিফ ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে চলাচলকারী পরিবহন থেকে আরএফআইডির মাধ্যমে টোল আদায়ের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। ট্রাফিকের তিন বিভাগের সমন্বয়ে প্রচারণা চালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাছাড়া শীঘ্রই এক মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় সকল পরিবহনের ক্ষেত্রে বেঁধে দেয়া হবে যাতে সেই সময়ের মধ্যে সবাই আরএফআইডি কার্ড গ্রহণ করে।
আলোচনায় ফ্লাইওভারের উপরের বাস যাতে যখন-তখন লেন পরিবর্তন করতে না পারে, যেখানে সেখানে বাস পার্কিং ও যাত্রী উঠা-নামা করতে না পারে সেজন্য সমন্বিতভাবে ড্রাইভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পাশাপাশি, যাত্রাবাড়ী মোড়ের ফ্লাইওভারের নিচের আইল্যান্ড ভেঙে বাস চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত করা, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সাথে যৌথভাবে অপারেশন কন্ট্রোল রুম স্থাপন এবং কুতুবখালি ফ্লাইওভার ইনকামিং এর রাস্তার ফেন্সিং করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম শর্ত। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের নিমিত্তে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে সেতু, উড়াল সড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল। দেশের ৪০টি জেলার পরিবহন হানিফ ফ্লাইওভার কেন্দ্রিক যাতায়াত করে। হানিফ ফ্লাইওভার কেন্দ্রিক ট্রাফিক প্রেসার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।