মহান অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র সড়ক দ্বীপে চলছে তিনদিনের সাংস্কৃতিক উৎসব। উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল সন্ধ্যায় নৃত্য পরিবেশন করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের শিশুরা।
এতে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে গণসংস্কৃতি কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন ও চারণ এর শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাচিক শিল্পীরা।
এর আগে বিকেলে এ আয়োজনের শুরুতে ছিলো সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে বক্তৃতা করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য সোমা ও গণসংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি জাকির হোসেন।
আজ থেকে শতবছর আগে ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর (রুশ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর) লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া শ্রমিক শ্রেণীর বিপ্লব ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে হাজার হাজার বছরের শ্রেণী বিভক্ত শোষণভিত্তিক সমাজের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সমাজতন্ত্র। সোভিয়েত বিপ্লব শুধুমাত্র উৎপাদন সম্পর্কের বা মালিকানার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষের দ্বারা মানুষের শোষণের অবসান ঘটিয়েছিল তা-ই নয়; শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, ক্রীড়া সকল ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছিল। এক অতি উন্নত মানবিক সাংস্কৃতিক মানসম্মত সমাজ গঠন করেছিল এই বিপ্লব।
মানবমুক্তির এই মহান বিপ্লবের শতবর্ষ যথাযথভাবে উদযাপনের জন্য ৩৩টি প্রগতিশীল গণমুখী সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদ্যাপন সাংস্কৃতিক পর্ষদ’ নামের একটি মঞ্চ গঠন করে। এই মঞ্চের উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদ্যাপনের এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি মহান ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করার জন্য নয়, একটা শোষণ-বৈষম্যহীন উন্নত মানবিক ও সংস্কৃতিসমৃদ্ধ সমাজ গড়ার দৃঢ় সংকল্প থেকে অনুষ্ঠিত তিনদিনের এই সাংস্কৃতিক উৎসব সোমবার শেষ হবে।