নেতৃত্বের শেষটায় মাশরাফি মর্তুজাকে জয় উপহার দেওয়াই ছিল দলে লক্ষ্য। কিন্তু লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল উড়ন্ত ব্যাটিং করে রেকর্ড রাঙা এক জয়ের পথ রচনা করে দেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা সেই ধারায় বল করেন।
লিটন দাস ও তামিম ইকবালের বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটির ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেরে গেল জিম্বাবুয়ে।
হারলেই হোয়াইটওয়াশ। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ করে জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। বিকাল চারটায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ৩৩.২ ওভারে ১৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তামিম-লিটন।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের আগের গড়া ১৫৪ রানের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। দুই দিনের ব্যবধানে তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন দাস।
শুক্রবার ইনিংস শেষ হওয়ার ১৩ বল আগে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের এই ইনিংস খেলার পথে শুধু তামিম ইকবালকেই নয়, কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের ছাড়িয়ে যান লিটন।
লিটনের বিদায়ের আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩তম সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরুতে ওপেন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত খেলে যান তামিম। আগের ম্যাচে ১৩৬ বলে ১৫৮ রান করা তামিম এদিন খেলেন ১০৯ বলে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১২৮ রানের ইনিংস। লিটন-তামিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২২ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সিকান্দার রাজার ৬১ আর ওয়েসলি মাধেভার ৪২ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৭.৩ ওভারে ২১৮ রানে অলআউট হয়। ১২৩ রানের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ৩২২/৩ (লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭, মাহমুদউল্লাহ ৩)।
জিম্বাবুয়ে: ৩৭.৩ ওভারে ২১৮/১০ (সিকান্দার ৬১, মাধেভার ৪২; সাইফউদ্দিন ৪/৪১)।
ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী।