বর্তমানে বাংলাদেশে ই-মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠচ্ছে। তবে বছরের অন্য সময়ের থেকে ঈদ বা বিশেষ উৎসবের মূহুর্তে জমে উঠে ই-মার্কেটিং বা অনলাইনের কেনাকাটা। রমজান মাস আর উষ্ণ আবহাওয়া। রাস্তার যানজট এড়াতে অনেকে ঘরে বসে পছন্দের জিনিস কিনতে অনলাইন মার্কেট গুলির প্রতি নির্ভরশীল। ঘরে বসে ছবি দেখে অর্ডার করে পণ্য কিনছেন তারা। এবারের ঈদের মৌসুমে অনেকেই কেনাকাটার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ই-কমার্স সাইটগুলো। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে শপিংমলের মতোই ভার্চুয়াল জগতে আনারকলি, গাউন আর পাঞ্জাবি বিক্রি করছে সাইটগুলো। ৪০ থেকে ১০০ টাকার চার্জের বিনিময়ে একদিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে যাবে ক্রেতার ঘরে।
ঈদের জমজমাট বাজার নিয়ে বসেছে ই-কমার্স সাইট গুলো পসরা সাজিয়ে বসেছে। পোর্টালগুলোতে মেয়েদের গাউন, কটন থ্রিপিস, শাড়ি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, পায়জামা, কোটি (ভেস্ট কোট) ফতুয়া বিক্রি হচ্ছে। মেয়েদের বাটারফ্লাই সিল্কের মধ্যে বিভিন্ন রংয়ের গাউন বিক্রি হচ্ছে ২১০০ থেকে ২২৫০ টাকায়। আড়াই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় টাঙ্গাইলের শাড়ি আর ৬০০ টাকায় কটন ব্লক প্রিন্ট থ্রিপিস পাওয়া যাচ্ছে। অ্যামব্রয়ডারি জামা বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২৫৫০ টাকায়। এগুলো সবই ফ্রি সাইজ এবং সেলাইবিহীন (আনস্টিচড)। তাই সাইজ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
মেয়েদের জন্য দারাজে রয়েছে শাড়ি, কটন কামিজ, লনের কামিজ, আনারকলি ও গাউনের কালেকশন। মাত্র ৮০০ টাকায় জর্জেটের গাউন মিলছে এখানে। এখানকার সবচেয়ে দামি সিল্কের গাউনের দাম ১৪ হাজার টাকা। সাইটটিতে সর্বনিম্ন ৪৯৯ টাকায় জাপানি সিল্ক শাড়ি এবং সর্বোচ্চ ৫২ হাজার টাকার হাফ সিল্ক জামদানি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। মিলছে জর্জেটের হিজাব ও বোরকা।
প্রতিযোগিতামূলক দামের পাশাপাশি সাইটগুলোতে রয়েছে স্থানীয় ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও কেনাকাটার সুবিধা। রয়েছে পে-অন ডেলিভারি সুবিধা।
এদিকে ই-কমার্স সাইটের পাশাপাশি আর্ট অ্যান্ড ইস্টিচড, রমনীর সাজ ও নীল আকাশ’র মতো ফেসবুক পেইজগুলোও বসেছে ঈদের কালেকশন নিয়ে। পেইজগুলোর বেশিরভাগই ভারতীয় পোশাকের কালেকশন।
এসব পেইজের ওনাররা (মালিক) বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সেইসঙ্গে ই-কমার্স সাইটগুলোর সার্ভিসে গ্রাহকের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তাই অন্যবারের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি।