ডিএমপি নিউজ: অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে অনলাইনে এমএলএম স্কিমে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ ইমরান শেখ, মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে সাদিক ও শাহনেওয়াজ শরীফ শামীম।
গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে অনলাইনে অবৈধ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত ৫ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক পিপিএম ডিএমপি নিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃতরা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারণা চালাতো। তারা গ্রাহকদেরকে উচ্চহারে মুনাফা প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজে বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করে। তাছাড়া একজন বিনিয়োগকারী যদি অন্য কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারে তাহলে প্যাকেজ ভেদে বিভিন্ন রকমের কমিশন প্রদান করতো। বিভিন্ন প্যাকেজে ৩০০ ডলার থেকে শুরু করে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলার পাওয়ার লোভ দেখানো হয়। উচ্চ রেফারেল কমিশন এবং ৩ মাসে জমা টাকা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যাক মানুষ এতে বিনিয়োগ করেন। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রেটি। এক ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকদের শনাক্ত করে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রায় ৬ মাস যাবৎ সাধারণ মানুষকে অ্যাকাউন্ট তৈরী ও তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সীর সহায়তায় ডলার ডিপোজিট করতে সহায়তা করতো। ডিপোজিটকৃত টাকা ডিজিটাল হুন্ডির সহায়তায় দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিপ্টোকারেন্সীতে লেনদেন অবৈধ।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের দুইজনের বিরুদ্ধে ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি প্রতারণা সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।