ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এর প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। সাম্প্রতিককালে আলোচিত বনানী থানার হোটেল রেইন ট্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম আসামী নাঈম আশরাফকে আটক করার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটি বলেন তিনি।
সিটি প্রধান বলেন- ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর থেকে ডিএমপি সমস্ত অনুরাগ, বিরাগ ও আবেগকে উর্ধ্বে রেখে পেশাগতভাবে মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন করবে। সেই অনুসারে ইতোপূর্বে আমরা ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন এজাহার নামীয় আসামীকে গ্রেফতার করেছি। সর্বশেষ আসামী নাঈম আশরাফ ওরফে এস এম হালিম ওরফে বাটপার নাঈম যার ভূমিকা সবথেকে বেশি ছিল। তাকে গত ১৭ মে রাত ৮.৪০ টায় মুন্সিগঞ্জ জেলার লোহজং থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- এই ঘটনাকে সর্বাাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তিনি উল্লেখ করে বলেন বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে আসামীরা প্রভাবশালী। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই আইনের চোখে প্রভাবশালী বলে কিছু নেই। অপরাধী সে অপরাধীই। অপরাধী হিসেবে এজাহার নামীয় ৫ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে আমরা বলতে চাই তদন্তে যদি আরও কারও সম্পৃক্ততার কথা আসে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে, বনানী থানার হোটেল রেইন ট্রি তে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ৬ মে’১৭ তারিখে বনানী থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। এজাহারনামীয় আসামীরা হলো- আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, ড্রাইভার বিল্লাল, বডিগার্ড রহমত আলী ও নাঈম আশরাফ । নাঈম আশরাফকে আজ বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। বাকী আসামীদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।