ডিএমপি নিউজঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রনে সবচেয়ে প্রথমে দরকার পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি। মোবিলিটি বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা অপরাধীর উপর কার্যত নিয়ন্ত্রন এনেছি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) এর গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে নিজ কার্যালয়ে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর’১৭ সকাল ১১ টায় ডিবিবিএল ডিএমপিকে একটি পিকআপ গাড়ী হস্তান্তর করে। অপরাধ নিয়ন্ত্রনে এই পিকআপটি ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় ব্যবহার করা হবে।
গাড়ী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) এর চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কাসেম মোঃ শিরিনসহ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ডিবিবিএল এর এমডি বলেন- বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশে আজ শান্তি বিরাজ করছে। পুলিশ বাহিনীর নিরলস কাজের জন্য আজ আমরা তাদের কাজের প্রতি সন্তুষ্ঠ। আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবসময় পুলিশের পাশে থাকার চেষ্টা করি। পুলিশ যেমন জনগণের জন্য কাজ করে ঠিক আমরাও জনগণের জন্য কাজ করি। ভবিষ্যতেও আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন- দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য ডিবিবিএল এর সাথে এক হয়ে আমাদের বিভিন্ন মহতী কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় সহযোগি প্রতিষ্ঠান ডিবিবিএল। ডিএমপি’র ২৫ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা ডিবিবিএল এর মাধ্যমে হয়। আগামীতেও ডিবিবিএল এর সাথে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদৃঢ় হবে।
ডিবিবিএল শুধু লাভ করে টাকা তাদের ঘরে তোলে না। সবসময় সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে তারা সহযোগিতা করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন- সরকার পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। সরকারীভাবে আমরা অনেক গাড়ি পেয়েছি।
কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় প্রাপ্ত গাড়ি অপ্রতুল। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে সিএসআর এর আওতায় আমরা সমাজের বিভিন্ন মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে গাড়ি পাচ্ছি।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসার জন্য ডিবিবিএল পরিচালনা পর্ষদ কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। জনদায়বন্ধতাকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে উভয় সংগঠন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।