অবশেষে জয়ের মুখ দেখল শ্রীলঙ্কা। হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটা কিছুটা হলেও পেল শান্তির সুবাতাস। অন্যদিকে ভারত সিরিজ জিতেও শেষ ম্যাচ না জেতায় হোয়াইট ওয়াস করতে পারলো না শ্রীলঙ্কাকে। শুক্রবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। তিন উইকেটে ম্যাচ জিতেই ঘরের মাঠে নিজেদের কিছুটা হলেও সম্মানরক্ষা করল দাসুন শানাকার টিম।
এই ম্যাচে থাবা বসিয়েছিল বৃষ্টি। ম্যাচের ওভার ৫০ থেকে কমিয়ে ৪৭ করা হয়। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ধাওয়ানরা ১০ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ২২৫। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৩.১ ওভারেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস! এদিন ব্য়াট হাতে মাত্র তিন ব্যাটসম্যানই অবদান রাখলেন। পৃথ্বী শ (৪৯), সঞ্জু স্যামসন (৪৬) ও সূর্যকুমার যাদব (৪০) বাদে কেউই ব্যাট হাতে ছাপ রাখতে পারলেন না। যেহেতু সিরিজ ভারতের দখলে, সেহেতু প্রত্যাশা মতোই দলে একাধিক পরিবর্তন আনলেন রাহুল দ্রাবিড়। এক সঙ্গে ৫ ক্রিকেটার এদিন অভিষেক করলেন ভারতের হয়ে। সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson), নীতীশ রানা (Nitish Rana), কৃষ্ণাপ্পা গোথাম (Krishnappa Gowtham), রাহুল চাহার (Rahul Chahar) ও চেতন সাকারিয়ারা (Chetan Sakariya) প্রথমবার দেশের জার্সিতে ওয়ানডে খেললেন। নীতীশ, কৃষ্ণাপ্পার রান বলার মতো ছিল না এদিন। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুরন্ত বল করলেন আকিলা ধনঞ্জয় ও প্রবীণ জয়উইক্রামা। দুয়ে মিলে তিন তিন করে হাফ ডজন উইকেট তুলে নিলেন এদিন।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর জন্য মরিয়া ছিল শ্রীলঙ্কা। অভিষ্কা ফার্নান্ডো ও মিনোদ ভানুকার ব্যাটে তাঁরা রান তাড়া করতে নামে। ৩৫ রানেই প্রথম উইকেট চলে যায় শ্রীলঙ্কার। সাত রানে ফিরে যান মিনোদ। তবে অভিষ্কা দলকে জেতানোর মন্ত্রেই আজ মাঠে নেমেছিলেন। তিনে নামা ভানুকা রাজাপক্ষকে নিয়ে মোটামুটি জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে ফেলেন তিনি। ফার্নান্ডো ৭৬ করেন। রাজাপক্ষের ব্যাট থেকে আসে ৬৫। পরের দিকে চরিথ আসালঙ্কা, রমেশ মেন্ডিস, চামিকা করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়রা মিলে ফিনিশিং লাইন পার করান দলের। ৪৮ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। এদিন বল হাতে সফল হন অভিষেককারী চাহার (৩ উইকেট) ও সাকারিয়া (২ উইকেট)। কৃষ্ণাপ্পা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া একটি করে উইকেট পান এদিন। আগামী ২৫ জুলাই রবিবার এই মাঠেই তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা।