তিন মোড়লের তত্ত্ব বাতিল করে সমতার ভিত্তিতে রাজস্ব বণ্টনের বিষয়ে যে নতুন অর্থনৈতিক মডেল উত্থাপন করা হয়েছিল, তা পাস হয়ে গেছে। ফলে ভারত তাদের দাবিকৃত অর্থ পাবে না। প্রত্যেকটি দেশ এখন আয়ের সমান লভ্যাংশ পাবে।
বুধবার দুবাইতে আইসিসির সদর দফতরে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সভায় নতুন ফাইন্যান্সিয়াল মডেল ৯-১ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়েছে । শুধু ভারতই নতুন ফাইন্যান্সিয়াল মডেলের বিরোধিতা করেছিল।
তাদের শত আপত্তির মুখেও শেষ পর্যন্ত নতুন প্রস্তাব পাস হয়ে গেল। এটি ছাড়াও সংবিধান সংশোধন করার যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল সেটাও পাস হয়ে গেছে ৮-২ ভোটের ব্যবধানে। ভারত ও শ্রীলংকা এই সংশোধন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছিল; কিন্তু তাদের এই বিরোধিতা আর ধোপে টেকেনি।
আইসিসির নতুন ফাইন্যান্সিয়াল মডেল অনুযায়ী প্রতিটি সদস্য দেশ সমতার ভিত্তিতে রাজস্বের ভাগ পাবে। সেটা হবে ২৯০ মিলিয়ন ডলার করে; কিন্তু ভারত এর বিরোধিতা করে রাজস্ব চেয়েছিল ৫৭০ মিলিয়ন ডলার। যেটা ‘তিন মোড়লের’ প্রস্তাবনায় ছিল। আইসিসি ভারতকে বোঝাতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত ২৯০ মিলিয়ন ডলারের সঙ্গে আর ১০০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেয়ার প্রস্তাব করেছিল; কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
শেষ পর্যন্ত আইসিসির সভায় নতুন মডেল পাস হওয়াতে সেই অতিরিক্ত ১০০ ডলারও আর পাচ্ছে না ভারত। আইসিসি থেকে তাদের গ্রহণ করতে হবে ২৯০ মিলিয়ন ডলারই।
নতুন সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা ছিল, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সদস্যপদ নতুন করে পর্যালোচনা করার। যাতে করে নতুন কাউকে সুযোগ দিয়ে এখান থেকে কাউকে বাদ দেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা। কিন্তু আইসিসির এই প্রস্তাবনাটি বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে অধিকাংশ পূর্ণ সদস্যের বিরোধিতার কারণে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং জিম্বাবুয়ে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নেয়। এ কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাব আর আলোরই মুখ দেখেনি।