আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে দেশের ২ লাখ ৩৭ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে ৪০ কোটি টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেবে সরকার।
আজ বুধবার দুপুরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এ কথা জানান।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বলেদেশের ৬৪ জেলার কৃষকদের উফশী আউশের জন্য ৩২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৭০ টাকা এবং ৪০ জেলার কৃষকদের নেরিকা আউশ আবাদে সাত কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৫ টাকা বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, এসব বীজ ও সার বিতরণে মোট খরচ হবে ৩৯ কোটি ৬২ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৫ টাকা। এই প্রণোদনার ফলে দুই লাখ ৩৭ হাজার ১৮২ বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষ করা যাবে।কৃষিমন্ত্রী জানান, উফশী ধানের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা দেওয়া হবে। এতে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে এক হাজার ৫৯৭ টাকা ৫০ পয়সা।
তিনি জানান, নেরিকা আউশ ধান চাষে একজন কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার এবং সেচ খরচ বাবদ ৫০০ টাকা ও আগাছা দমনের জন্য আরও ৫০০ টাকা পাবেন। এতে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে দুই হাজার ১১৫ টাকা।
এ বছরের মার্চের শেষ দিকে প্রণোদনার এই অর্থ ছাড় করা হবে জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ সংক্রান্ত সরকারের কমিটি সুবিধাভোগী কৃষকদের তালিকা চূড়ান্ত করবে। কেউ একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
সংবাদ সাম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী জানান, এ মৌসুমে মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ১৮২ বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষ করা হবে। প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও আউশ ধান উৎপাদনে সেই ঘাটতি অনেকটা পুষিয়ে দিয়েছি। এ বছর ৫ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত আউশ ধান উৎপাদিত হয়েছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যা এবং পরে দেশের ৫৩ জেলায় বন্যার কারণে বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।