আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে কারা সপ্তাহ ২০১৮।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গাজীপুরস্থ কাশিমপুর কারাগার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কারা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে উল্লেখ করেন, কোনো মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিই মানুষকে অপরাধপ্রবণ করে তোলে। তাই কারাবন্দিদের মানসপট থেকে অপরাধপ্রবণতা দূর করতে সংশোধনমূলক কর্মকান্ডের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বন্দিদের কৃত অপরাধের জন্য অনুশোচনাবোধে উদ্দীপ্তকরণ এবং সংশোধনমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে কারাগারে আটক বন্দিদের প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানসহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান বন্দিদের সমাজে পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখবে।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে দেশের সকল উপকারাগারকে জেলা কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।তিনি বলেন, বন্দির হাতকে দক্ষকর্মীর হাতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বন্দিদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। কারাগারসমূহে কুটিরশিল্প ও বেকারি স্থাপন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কারাশিল্পে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বিক্রয়লব্ধ অর্থের লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ বন্দিদের প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে কারাভোগ শেষে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডে না জড়িয়ে বন্দিরা প্রশিক্ষণ ও মূলধন নিয়ে নতুন কর্মজীবন শুরু করতে পারে।
গতকাল রোববার ‘কারা সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন ।কারা সপ্তাহ- ২০১৮ উদযাপনে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কাশিমপুর কারা প্রাঙ্গণে কারা সপ্তাহের উদ্বোধন, দোয়া মাহফিল, জাতীয় ও বিভাগীয় পতাকা উত্তোলন, সেরা কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, প্যারেড কমান্ডারদের শুভেচ্ছা বিনিময়, কারা কর্মকর্তাদের নৈশ ভোজ, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।আগামীকাল ২০মার্চ থেকে ২৬মার্চ পর্যন্ত উদযাপন করা হবে ‘কারা সপ্তাহ ২০১৮’।