২০ বছরে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প অনেক বড় হয়েছে। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের পোল্ট্রি উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। তবে ঝুঁকি মোকাবেলায় পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে খামার গড়ে তুলতে হবে। সফলতার মুখ দেখা যাবে যখন সবাই একাত্ম হয়ে কাজ করবেন। আমাদের মূলমন্ত্র হতে হবে কথা কম কাজ বেশি।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হোটেলে জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস আয়োজিত উপজেলা থেকে কমিউনিটি (ইউটুসি) কার্যক্রমের অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্তগ্রহণ কর্মশালায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (একটেড) কান্ট্রি টিম লিডার এরিক ব্রন এসব কথা বলেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, মাংস ও মাছের ক্ষেত্রে আমরা মাথাপিছু যে লক্ষ্য তা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। সপ্তাহে দুইটি ডিম হিসেবে বছরে মাথাপিছু ১০৪টি ডিম দরকার, আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি ৯৩টি। কোয়ালিটি ও সেফটির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি পোল্ট্রিতে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনা দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী গ্রামে কৃষিজমিতে নতুন নতুন বাড়ি তৈরি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বহুতল বাড়ি নির্মাণের জন্য সহজশর্তে গ্রামের মানুষকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
মূল কথা গ্রামকে আর বড় হতে দেওয়া যায় না। অতিথি ছিলেন চন্দনাইশের উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
কর্মশালায় জানানো হয়, খামারিদের সেবা করি, নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ি সেøাগানে ইউটুসি উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য খামারিদের বিশেষত প্রান্তিক নারী খামারিদের কাছে প্রাণিসম্পদ ও প্রাণি স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করা, অংশগ্রহণমূলক রোগ নজরদারি দ্বারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও অন্যান্য প্রাণিরোগ ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ করা। দেশের নয়টি উপজেলায় পাইলট আকারে ইউটিসি উদ্যোগ সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন শেষে এখন ১২৬ উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের সব উপজেলা এ কার্যক্রমের আওতায় আসবে।