দেশব্যাপী টিকা দেয়ার এই কর্মসূচি আগামী১৮ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। টিকা দেয়ার আওতায় আনা হয়েছে নয় মাসথেকে দশ বছর বয়সী৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ক্যাম্পেইনটিকে সর্বমোট দুই ভাগেবিভক্ত করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহ ১৮ থেকে ২৪মার্চ এবং ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় সপ্তাহ ২৮ থেকে ১১ এপ্রিল। প্রত্যেক শিশুকে১ ডোজএমআর টিকা প্রদান কর হবে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন শুরুর দিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত শুক্রবার ও সরকারি ছুটিরদিন ব্যতীত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই টিকা প্রদানকরা হবে। এই টিকা দানেরউদ্দেশ্য নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থেকে ২ বছর বয়সেরনিচের সকল বাদ পড়া ও ঝরে পড়াশিশুদের খুঁজে বের করে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে এমআর টিকা নিশ্চিত করা ।
১০ রোগের বিরুদ্ধেনিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এগুলো হল যক্ষ্মা, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, মা ও নবজাতকেরধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া, পোলিও মাইলাইটিস, হাম ও রুবেলা। সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)সার্বিকভাবে এর সহায়তা করছে ।
সময়ের পরিক্রমায় টিকাদানের হার সমন্ধে সরকারি ও আন্তর্জাতিক নানাসংস্থার যে প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছেতাতে বাংলাদেশের ভূয়সী করা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতার জন্য গত বছর প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবংইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)।
১৯৮৫ সালের সরকারি জরিপে যেখানে ১ বছরের কমবয়সী শিশুদের পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ সেখানে এখন সামগ্রিক টিকাদানের হার ৮২ শতাংশেরও বেশি।