বরিশাল সিটি কপোরেশন সহ জেলায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২শ’ ৮১ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় খাওয়ানো হবে ১ লাখ ৩ হাজার ৭শ’ ৫১ শিশুকে।
মঙ্গলবার বরিশালের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ৫ আগস্ট জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওই দিন বরিশাল জেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩২ হাজার ৭১ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭১ হাজার ৬শ’ ৮০ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
ওই দিন বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ভিটামিন খাওয়ানো হবে। এই কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন ৪ হাজার ৩১০জন কর্মী। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। এছাড়া জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী ও হিজলা উপজেলায় ৪ দিনব্যাপী বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এদিকে বরিশাল সিটি কপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট বরিশাল সিটি কপোরেশনের আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৮ হাজার ৫শ’ ৩০ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন হয়েছে। এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪ হাজার ৮শ’২০ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৩ হাজার ৭শ’ ১৫জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
ওই দিন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭৪ জন কর্মী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।