সুদর্শন চেহারার মিষ্টি হাসির যুবক। তার হাসি সংক্রমিত করতো অন্যদের। খুব উচ্ছ্বল ছিলেন, প্রাণবন্ত ছিলেন। অভিনয়টাও করতেন দারুণ। এফডিসিতে ‘দেবদাস’ নিয়ে এক ঘরোয়া আড্ডায় প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম কথাগুলো বলেছিলেন। যাকে নিয়ে বলেছিলেন তিনি অকাল প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী।
চলচ্চিত্রে এসে মন জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকের। মায়াবী চোখ, মিষ্টি হাসি, মোলায়েম শুদ্ধ উচ্চারণের কণ্ঠ, সাবলীল অভিনয় দিয়ে সোহেল চৌধুরী বেশ অল্প সময়েই ইন্ডাস্ট্রি কাঁপাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিধিবাম! ক্যারিয়ার যখন সুবাস ছড়াতে শুরু করলো কেবল তখনই থেমে গেল এই নায়কের মুগ্ধতার গান। আজ থেকে ১৯ বছর আগের এইদিনে (১৮ ডিসেম্বর)নিহত হন সোহেল চৌধুরী।
সোহলে চৌধুরীর জন্ম ১৯৬৩ সালে ঢাকার বনানীতে। তার বাবার নাম তারেক আহমেদ চৌধুরী। মা নূরজাহান বেগম। উচ্চবিত্তদের পরিবারের সন্তান এই নায়ক আধুনিক শিক্ষায় নিজেকে আলোকিত করেছিলেন। চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে আশি ও নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে। ১৯৮৪ সালের নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। সেই বছরেই নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত ‘পর্বত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়।
তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী ভালোবেসে সেইসময়ের হার্টথ্রব চিত্রনায়িকা দিতিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুইটি সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় দিতি-সোহেল দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরীর। ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।