আজ বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী । ১৯৯৪ সালের এই দিনে যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের চিত্রা পাড়ের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মেছের আলী ও মায়ের নাম মাজু বিবি। বাবা-মা আদর করে নাম রাখেন লাল মিয়া। তিনি তার অসাধারণ তুলির আঁচড়ে বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
শিল্পী সুলতানের বাবা মেছের আলী পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রি। দরিদ্রতার মধ্যেও তিনি ১৯২৮ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। স্কুলের অবসরে বাবাকে কাজে সহযোগিতা করার সময় ছবি আঁকার হাতেখড়ি হয় তার। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউ ইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ ও এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা, ১৯৮২ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। জন্মস্থান নড়াইলের প্রতি শিল্পী সুলতানের অকৃতিম ভালোবাসা ছিল। তার ইচ্ছা অনুযায়ী নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ে মাছিমদিয়ায় অবস্থিত নিজের বাসভবনের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় বরেণ্য এই চিত্রশিল্পীকে।