মাঠের পাশে কোন পজিশনে ফ্লাডলাইটের পিলারগুলো বসবে সে দাগসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন মাপজোকও করে গেছেন। আজ থেকেই তারা নেমে পড়বেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজে। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি খাজা রহমত উল্লাহ মঙ্গলবার দুপুরে বলেছেন, ‘এই তো ঠিকাদাররা সব দেখেশুনে গেল। বুধবার থেকেই শুরু করবে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ।’
দীর্ঘ ৩২ বছর পর এশিয়া কাপ হকির আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৮৫ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এশিয়া কাপের ফাইনালে গ্যালারি উপচে পড়া দর্শকের কথা এখনো অনেকের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। সেই দর্শক হয়তো দেখবে না বাংলাদেশের হকি। তবে প্রায় ৩ যুগ পর এশিয়ান হকির সবচেয়ে বড় এ টুর্নামেন্ট আয়োজন উপলক্ষেই মওলানা ভাসানি পাচ্ছে ফ্লাডলাইট।
এখানেই শেষ নয়-এশিয়া কাপ উপলক্ষে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আরো কিছু সংস্কার কাজও হচ্ছে। ড্রেসিং রুম, আম্পায়ার্স রুম, প্রেসবক্স, ডিজিটাল স্কোর বোর্ড, ভিআইপি বক্স ও ফেডারেশনের কার্যালয়ের কক্ষগুলো আধুনিকায়নসহ অন্যান্য কাজের জন্য আরো ৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের এ সহসভাপতি।
মওলনা ভাসানী স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট স্থাপন হচ্ছে ভেতরে। টার্ফের চার কোণায় ৩০ ফুট দুরে বসানো হবে ফ্লাডলাইটের চারটি পিলার। প্রতিটি পিলারে থাকবে ৩০ করে বাল্ব। পিলারের উচ্চতাও ৩০ ফুটের মতো।