‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ চলবে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এটি এ উৎসবের ১১তম আসর।
৫৮টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র এতে প্রদর্শিত হবে। ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। এছাড়া উৎসবের অন্য ভেন্যু হিসেবে রয়েছে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও গ্যাটে ইনস্টিটিউট, ফুলার রোডের বৃটিশ কাউন্সিল ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও যেসব দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে সেগুলো হলো- আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বারবাডোস, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বসনিয়া অ্যান্ড হারজেগোভিনা, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, চীন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ঘানা, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, কিরঘিজস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, ম্যাকাও, যুুগোস্লাভিয়া, মেক্সিকো, নেপাল, হল্যান্ড, নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, তানজানিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনিজুয়েলা ও ভিয়েতনাম। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এ বিভাগে নির্বাচিত ২১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্য ৫টি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা। পুরস্কারের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। এ বছরও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ফিল্মমেকার সেকশন’ শীর্ষক বিভাগটি রয়েছে, যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নেবেন।
এছাড়া রয়েছে সোশ্যাল ফিল্ম সেকশন, যেখানে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।