প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার এবারের জন্মদিন অসহায়, গরিব ও দুঃখী মানুষদের জন্য উত্সর্গ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা এখন শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে তার নেতৃত্বে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।
শেখ হাসিনার শৈশব কাটে পিত্রালয়ে। ’৫৪ এর নির্বাচনের পর তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশী বাজারের ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। ওই বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহ-সভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন। প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া শেখ হাসিনার স্বামী।
বরাবরের মতো এবারো জন্মদিনে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান শেষে বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। আগামীকাল রবিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।