ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বুধবার, বেলা ১২টায়। ভেন্যু মিরপুর, যেটা স্পর্শ করতে যাচ্ছে শততম ওয়ানডে আয়োজনের মাইলফলক। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখবে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি লড়াই।
ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন।
জিম্বাবুয়ের জন্য সিরিজে এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথমটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে গেছে তারা। সিরিজে টিকে থাকতে হলে লঙ্কানদের হারানোর বিকল্প নেই তাদের সামনে। র্যাংকিংয়ের ১০ নম্বরে থাকা দলটি অবশ্য আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। গত বছরই শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এবার নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগাতে চায় তারা।
জিম্বাবুয়ে যেখানে পুরনো রেকর্ড বের করে আত্মবিশ্বাসের খোঁজে, সেখানে শ্রীলঙ্কার খুব বাজে অবস্থা। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হেরে ভারত গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানেও সুবিধা করতে পারেনি তারা। বেশির ভাগ ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে লঙ্কানরা। গত বছর টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তাদের জয় মাত্র ১৪টি।
১৩ টেস্টে ৪ জয় ও হার ৭টি, ২৯ ওয়ানডে খেলে কেবল ৫টি জয় ও ২৩ ম্যাচে হার এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৫ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা হেরেছে ১০ ম্যাচ। সব মিলিয়ে দুঃসময়ে কেটেছে তাদের গত বছর। তবে নিজেদের ব্যর্থতা ভুলতে বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে দলে ভিড়িয়েছে তারা।
হাথুরুসিংহের অধীনে এটাই হবে শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচ। নতুন কোচকে নিয়ে আগের বছরের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটা নতুন বছর। ২০১৭ সালকে পেছনে ফেলে সবকিছু আবার নতুন শুরু করতে চাই। জিম্বাবুয়ের কাছে আমাদের গত বছর হারার রেকর্ড আছে। তারা ভালো দল। তাদের সব খেলোয়াড় ফেরত এসেছে। তারা এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আশা করি বছরের শুরুটা ভালোই হবে।’