হেমানজিওমা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন শিশু মুক্তামনির হাতে ফের অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দোতলার অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) তার ফের অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এর আগে, ২৭ জুলাই ভিডিওতে মুক্তামনিকে ও তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন দেখেন এবং ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ড মিটিং করেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। পরে ই-মেইলে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালটি জানিয়েছিল যে, রোগটি ভালো হওয়ার নয় ও সেটি অস্ত্রোপচার করার মতোও নয়।
এ পর্যবেক্ষণ জানার পর বুধবার মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সভায় ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সব ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করে বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সে অনুসারে গত ০৫ আগস্ট সফলভাবে মুক্তামনির বায়োপসি অপারেশন সম্পন্ন হয়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদাহ গ্রামের দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তামনি।
এ রোগে তার ডান হাত ফুলে যায়। সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারে না। এরপর হাতে পচন ধরে।হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি।