আজ (সোমবার) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেবেন দেশটির জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা রজব তাইয়্যেব এরদোগান। জাতীয় সংসদে তার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিপূর্ণ প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থা চালু হবে। গত ২৪ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন এরদোগান।
২০১৪ সাল থেকেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তবে প্রথম মেয়াদের সঙ্গে দ্বিতীয় মেয়াদের বিস্তর তফাৎ রয়েছে। নতুন মেয়াদে এরদোগান পেয়েছেন নিরঙ্কুশ নির্বাহী ক্ষমতা।
গত বছর অনুষ্ঠিত এক গণভোটে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে রায় দেয় দেশটির জনগণ। এর ফলে তুরস্কে আর প্রধানমন্ত্রীর পদ থাকছে না। প্রেসিডেন্ট নিজেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্বাচন করবেন। এ ক্ষেত্রে সংসদেরও অনুমতি লাগবে না। তিনি চাইলেই যেকোনো সময় যে কাউকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ বা বরখাস্ত করতে পারবেন। এছাড়া আরও অনেক ক্ষমতা ভোগ করবেন তিনি। এর আগে যেসব ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের ছিল না।
এরদোগান জানিয়েছেন, শপথ নেয়ার পর রাত নয়টায় মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বসবে বলেও তিনি ঘোষণা করেছেন।
এরদোগান বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তুরস্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। তবে তার এই নতুন যুগ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। তারা বলছে, নিরঙ্কুশ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় এর্দোগান ক্রমেই স্বৈরশাসকে পরিণত হতে পারেন।