আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস। বিশ্বব্যাপী সিভিল সার্ভিস সদস্যদের জন্যই এ দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘২০১৫-উত্তর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমুখী সেবার উদ্ভাবন’।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সর্বোচ্চ মমত্ববোধ, ন্যায়পরায়ণতা ও পরার্থপরতার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য জনপ্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কম খরচ ও দ্রুততম সময়ে জনসাধারণের কাছে রাষ্ট্রের সেবাসমূহ পৌঁছে দিতে আজকের জনবান্ধব প্রশাসন সদা বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকল কর্মচারীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। ‘পাবলিক সার্ভিসের সদস্যগণের মাধ্যমেই একটি নির্বাচিত সরকার তার প্রতিশ্রুত সকল সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সেবা উৎপাদন ও বিতরণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষমতার উপরই পাবলিক সার্ভিসের দক্ষতা ও কার্যকারিতা নির্ভরশীল। তাই পাবলিক সার্ভিস জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিচালনাও সরকারের সফলতার একটি মাপকাঠি।’ তিনি বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিসের সকল সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং জনগণের সমর্থনে আমরা ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব এবং এর মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’র বাস্তবায়ন হবে।’-বাসস