বাংলাদেশে ঢাকা-উত্তরপশ্চিম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে সরকার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র সঙ্গে ৩০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বাংলাদেশে এডিবির আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাস আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) জোটের আওতায় প্রথম দফায় ১২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে এডিবি।
মনমোহন পারকাস বলেন, ‘এই প্রকল্পটি দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম সড়কটি দিয়ে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিক সংযোগ আরো জোরদার করবে, এতে করে পরিবহণ খরচ কমবে, এ খাতটি আরো প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং ঢাকার সঙ্গে দেশর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহণ যোগাযোগ আরো দক্ষ করে তুলবে।’
দেশের উত্তর-পশ্চিম করিডোরের সঙ্গে সংযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিবি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। ১৯৯৪ সালে যমুনা সেতু প্রকল্পের অনুমোদনের সময় সংস্থাটি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাসেক আন্তঃসংযোগে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহনকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশটিতে মোট যাত্রীর ৭০ শতাংশই সড়ক পথে যাতায়াত করেন। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়ক পথের ব্যবহার হয় প্রায় ৬০ শতাংশ। দেশটিতে প্রতিবছর যাত্রী ও প্যণ পরিবহণ ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে।
জানা যায়, সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের (সাসেক) বাংলাদেশে ৬০০ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে এ সড়কটি রয়েছে। চার দেশীয় অর্থনৈতিক করিডোর বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমারের (বিসিআইএম) তালিকায় রয়েছে সড়কটি। উত্তরবঙ্গে শিল্পের প্রসারসহ বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারত ও নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় এ মহাসড়ক ভূমিকা রাখবে। বাসস