বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিন্টুর বাড়ির একটি ঘরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপগুলো বের করা হয়। স্থানীয় সাপুড়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপগুলো উদ্ধার করে বাহিরে নিয়ে আসেন। এসব সাপ দেখতে গ্রামের বহু মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
এ সময় দরগাপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মাহাবুবুর রহমান মিন্টুর বাড়ি থেকে দুটি বড় গোখরা, ১০৭টি গোখরা সাপের বাচ্চা ও ৩৬টি গোখরা সাপের ডিম পাওয়া গেছে। আবারও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে সাপ উদ্ধারের পর আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে একই ইউনিয়নের দুবলাচরা গ্রামের সানোয়ার রহমানের বসতবাড়ির শোবার ঘর থেকে ১৪ই জুলাই ২ শতাধিক গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়। মাত্র ৬ দিনের মাথায় আবারো সাপ উদ্ধারে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে রাতে ঠিকমত ঘুমাতেও পারছে না।
সাপুড়ে সানোয়ার হোসেন বলেন, দরগাপাড়া গ্রামের মিন্টুর বাড়ির একটি ঘর থেকে দুটি বড় গোখরা, ১০৭টি গোখরা সাপের বাচ্চা ও ৩৬টি গোখরা সাপের ডিম পাওয়া গেছে। বড় সাপ হলে যারা সাপের খেলা দেখায় তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নেয়। সাপের ছোট বাচ্চা কোনো কাজে লাগে না। এগুলো আমরা মেরে পুঁতে ফেলি।
মিন্টু জানান, গত বুধবার সকালে বাড়ির উঠানে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পাওয়া যায়। সাপের বাচ্চাটি দেখার পর স্থানীয় সাপুড়েকে খবর দেয়া হয়। সাপুড়ে এসে ঘরের বিভিন্ন জায়গা খুড়ে সাপ ও ডিমগুলো উদ্ধার করেন।