তিনি আবার কোচের ভূমিকায় ফিরলেন। এবং, তাঁকে দেখা যাবে মরুশহরে। যেখানে আগেও কোচের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন।
তিনি— দিয়েগো ম্যারাডোনা , রবিবার সরকারি ভাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্লাব ফুজেইরার কোচ হিসাবে তাঁকে ফুটবলবিশ্বের সামনে পেশ করা হল। ফুজেইরা মোটেও আমিরশাহীর বড় কোনও শহর নয় বা বড় কোনও ফুটবল ক্লাবও নয় তাদের। তবু ম্যারাডোনাকে এনে তারা চমক দিল। এক বছরের চুক্তি করা হয়েছে আপাতত। দু’পক্ষ রাজি হলে মেয়াদ বাড়তে পারে। প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের কোচিংয়ে ফিরছেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
আমিরশাহিতে এর আগে তিনি কোচিং করিয়ে গিয়েছেন দুবাইয়ের আল ওয়াসি ক্লাবে। যা মনে করিয়ে দিয়ে ম্যারাডোনা এ দিন নিজেকে ‘দুবাইয়ের সন্তান’ বলে বর্ণনা করেন। ‘‘আমি আরও অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলাম অন্যান্য জায়গা থেকে। পৃথিবীতে আরও অনেক জায়গা আছে, আরও অনেক ক্লাব আছে। কিন্তু এই জায়গাটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের।’’ ফুজেইরা নিয়ে এর পর বলে ওঠেন, ‘‘আমি খুবই পরিশ্রম করব দলটিকে নিয়ে। ফুজেইরাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলব।’’ ১৯৮৬–তে মেক্সিকোয় তিনি কার্যত একার দায়িত্বে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন আর্জেন্তিনাকে। কিন্তু কোচ হিসেবে নানা কঠিন অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার দায়িত্ব নিয়ে সফল হননি। দুবাইয়ে আগে কোচিং করিয়েছেন কিন্তু সেটাও বন্ধ হয়ে যায় পাঁচ বছর আগে। ‘‘আমি ফুটবল ও স্টেডিয়ামকে মিস করছিলাম। চিন থেকেও আমার কাছে প্রস্তাব ছিল। কিন্তু এই জায়গাটাকে বেছে নিলাম আমার অন্তরের ডাক শুনে,’’ বলেন তিনি। এমনও জানান যে, পুত্র ফার্নান্দো এবং নাতি বেঞ্জামিনকে তিনি দেখাতে চান, যেমন ভাল ফুটবলার ছিলেন তেমনই ভাল কোচও হতে পারেন। তাঁর প্রথম লক্ষ্য, ফুজেইরা ক্লাবকে আমিরশাহির ফুটবলে প্রথম সারিতে নিয়ে আসা।
তাঁর কাছে রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং অন্যান্য কয়েকটি জায়গা থেকে প্রস্তাব ছিল। ‘‘ফুজেইরা এখন আমার ঘর। এখানেই আমি থাকব। যতক্ষণ না এই ক্লাবকে সেরাদের মধ্যে তুলে আনতে পারছি।’’ ফুজেইরা এই মুহূর্তে আমিরশাহির প্রিমিয়ার ডিভিশনে নেই। সেখানে তাদের ফেরানোটাই চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে কোচ হিসেবে ফেরা ম্যারাডোনার।