২০১৫ সালে কুমিল্লা জেলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন রবিউল। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ‘মানিগ্রাম পেসার হান্টে’ কুমিল্লা অঞ্চলের সেরা বোলারও তিনি।
বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলতে ট্রায়াল দিয়ে ভালো করেছেন। অসুস্থতার আগ পর্যন্ত তিনি কুমিল্লার ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমিতে নিয়মিত খেলতেন।
অসুস্থতা জনিত কারণে দীর্ঘসময় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে সাধারণ শয্যায় ফিরতে পেরেছেন তরুণ ক্রিকেটার রবিউল আলম। এখন তিনি কথা বলতে পারেন, নিজ হাতে খেতে পারেন, আনন্দ-দুঃখ প্রকাশ করতে পারছেন। জীর্ণ-শীর্ণ দেহ নিয়ে শয্যায় শুয়ে শুয়ে মাঝে মধ্যে প্রাণপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের কথা স্মরণ করছেন আর দুচোখ ভেজাচ্ছেন।
আইসিইউ থেকে ফিরলেও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার সন্তান রবিউল এখন স্বপ্ন দেখছেন পূর্বের মতো ভরা যৌবন নিয়ে ক্রিকেটের মাঠে ফিরতে। অনুশীলনের সময় গতবছরের আগস্ট মাসে তরুণ ক্রিকেটার এই রবিউল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই প্রথমে দুই কিডনি বিকল ও পরে ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ ধরা পড়ে। যা নিয়ে ঢাকার কিছু হাসপাতাল হয়ে ভারত, তারপর আবারও ঢাকায় ফিরে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হচ্ছে তাকে।
তার বড় ভাই আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতটুকু যে ওর উন্নতি হবে, এটা ভাবিনি। সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা না পেলে ভাইটার এ উন্নতি দেখতে পারতাম না। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার সুঠাম দেহী রবিউলের দেহ এতটাই ভেঙে পড়েছে, কেউ স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাসই করবে না। হাড্ডিসার দেহ নিয়ে শুয়ে থাকা রবিউলকে খেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে রবিউলের দুচোখ ভিজে আসে। তখন জাহাঙ্গীর আলম টিস্যু পেপার দিয়ে রবিউলের দুচোখ মুছে দিয়ে বলেন, জীবনে বড় হবার অনেক রাস্তা আছে। শুধু ক্রিকেটের কথা ভাবলে চলবে না।
৬ এপ্রিল রাতে এ প্রতিবেদক যখন রবিউলের শয্যা পাশে যায়, তখন রবিউল বাংলাদেশ ও শ্রীলংঙ্কা মধ্যকার খেলা দেখছিলেন মেজো ভাই আলমগীরের স্মার্ট ফোনে। প্রশ্নের উত্তরে শুয়ে থাকা রবিউল বলেন, বুঝতে পারি খেলা। প্রবল আত্মবিশ্বাসী রবিউল বলেন, ছিলাম তো মৃত্যুর মুখে, আইসিইউতে। সেখান থেকে ফিরতে পারছি সবার দোয়ায়। আমার মন বলছে, আমি সুস্থ হব, খেলতে পারব।