এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং যশোর বিজ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ১৬ গবেষক।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘ক্ষুরা রোগ বাংলাদেশে গবাদি প্রাণীর একটি প্রধান সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। এ রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রধানত আমদানি করা হয়। উদ্ভাবিত এই টিকা বাংলাদেশে বিদ্যমান ক্ষুরা রোগের তিন ধরনের ভাইরাসের সব ধরনের সংক্রমন থেকে গবাদিপশুকে সুরক্ষা দেবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সঞ্চরণশীল ভাইরাস দিয়ে টিকা উদ্ভাবন প্রাণিসম্পদ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ও সুরক্ষায় এ টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ট্রাইভ্যালেন্ট টিকা তৈরিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং খামারি পর্যায়ে প্রতিমাত্রা টিকা ৬০-৭০ টাকার মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) আওতায় এ গবেষণা হয়েছে।
গবেষক দলের প্রধান ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত পাঁচ থেকে ছয় বছর আমরা কাজ শুরু করি। অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। তবু এগিয়ে গিয়েছি। গবেষণায় ল্যাব স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে আমাদের দুটি উপ-প্রকল্পের আওতায় হেকেপ থেকে ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের পেটেন্ট নিবন্ধনের জন্য দেশে-বিদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।