ডিএমপি নিউজঃ আপনারা নিজেরা একজন চেঞ্জমেকার হয়ে পরিবার, সহপাটি ও বন্ধুদের নিয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, পেশাদারিত্ব ও জনদায়বদ্ধতা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করছি।
ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে আয়োজিত এক ওয়ার্কসপে তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম।
ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো’র উদ্যোগে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ আজ ২৩ নভেম্বর’১৭ সকাল সাড়ে ১০ টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে Workshop on Traffic Awareness Building and Education শীর্ষক সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোসলেহ্ উদ্দিন আহ্মদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মোঃ আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল, ব্রাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাইথ ইউনিভার্সিটি, মিলিটারী ইন্সটিটিউট সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর শিক্ষার্থীরা।
কমিশনার বলেন- সাধারণ মানুষের মাঝে ট্রাফিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে পুলিশ ও স্টুডেন্টদের একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ আইন মানতে চাই না। এত মানুষকে আইন মানানো একটি অসাধ্য কাজ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন মানার সংস্কৃতি ধারণ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রতিনিয়ত ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সভা করি।
ট্রাফিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তিনি বলেন- আমরা অনেক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রোডের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সমস্ত অনিয়ম দূর করতে কাজ করে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও উল্টোপথে গাড়ি চালানো যেন নিয়মে পরিনত হয়েছিল। এখন আমাদের শক্ত অবস্থানে এটাকে নূন্যতম পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আইন ভংঙ্গকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক বলেন- ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ রোড থাকার দরকার। কিন্তু ঢাকায় আছে মাত্র ৮ শতাংশ। গাড়ির তুলনায় রাস্তার সংখ্যা অনেক কম। যেখানে প্রতিদিন ৩০০ নতুন গাড়ি রাস্তায় নামে।
যানজটের অন্যতম কারন রিক্সা। আনুমানিক ৮ থেকে ১০ লক্ষ রিক্সা আছে এই শহরে। সিটি কর্পোরেশন এর লাইসেন্সভুক্ত আছে ৮০ হাজারের মত। এগুলো সব সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রনে। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় গাড়ির গতি ধীর হয়ে জটের সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন ঢাকা শহরে প্রায় ৩৫০ টি রুট রয়েছে। এসব রুটে বিভিন্ন কোম্পানী তাদের গাড়ি চালায়। বেশির ভাগ সময়ে প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোয় যানজট ও দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। ভবিষ্যতে আমরা এসব রুটকে ১০ থেকে ১৫টি রুটে নিয়ে আসবো। রুট অনুযায়ী গাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন রং করা হবে এবং একটি কোম্পানীর মাধ্যমে গাড়িগুলো পরিচালনা করা হবে। কেউ ব্যবসা করতে আসলে তার গাড়ি কোম্পানীতে সংযুক্ত করে ব্যবসা করতে পারবে।
এছাড়াও তিনি বলেন- সড়কে শৃংখলা ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত আইন ভংঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। প্রতি মাসে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়ে থাকে। ঢাকার রাস্তায় ভবিষ্যতে রিমোট কন্ট্রোল ও সেন্সর বেস সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হবে। ডিএমপি’র ৪ হাজার ট্রাফিক সদস্য ট্রাফিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ৬০০ জায়গায় প্রতিনিয়ত কাজ করছে।