আর্সেনালকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ফাইনালে ৪-১ গোলে জিতে শিরোপা নিজের করে নিল চেলসি।
শিরোপা লড়াইয়ের শুরুতে দুদলের খেলাতেই ছিল ছন্দের অভাব। এর মধ্যে ১৮তম মিনিটে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ফরাসি ফরোয়ার্ড আলেকসঁদ লাকাজেত আগুয়ান গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগার মাথায় লেগে পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে আর্সেনাল। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। আট মিনিট পর সুইস মিডফিল্ডার গ্রানিত জাকার ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বুলেট গতির শট ক্রসবার ছুঁয়ে চলে গেলে বেঁচে যায় চেলসি।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা চেলসি প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে আর্সেনালের রক্ষণে চাপ বাড়ায়। ভালো দুটি সুযোগও পায় তারা; তবে সাফল্য মেলেনি। ৩৫তম মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার এমেরসনের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পাঁচ মিনিট পর জিরুদের নিচু শটও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন গোলরক্ষক পেতর চেক।
বিরতির পর চতুর্থ মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি চেক রিপাবলিকের গোলরক্ষক চেক। এমেরসনের ক্রসে নিচু হয়ে নেওয়া হেডে জাল খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড জিরুদ।
১০ মিনিট পর বাঁ দিক থেকে হ্যাজার্ডের পাস পেয়ে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো। আসরে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের এটি পঞ্চম গোল। ৬৫তম মিনিটে হ্যাজার্ডের সফল স্পট কিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় চেলসি। ডি-বক্সে জিরুদ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার চার মিনিট পর দূরপাল্লার কোনাকুনি শটে ব্যবধান কমান আলেক্স আইওবি। তাতে অবশ্য ম্যাচের চিত্র একটুও বদলায়নি। ৭২তম মিনিটে জিরুদের পাস পেয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে স্কোরলাইন ৪-১ করেন হ্যাজার্ড।
উল্লেখ্য, ২০১২-১৩ মৌসুমের ২য় বারের মত ইউরোপা লিগ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল চেলসি।