দিনভর কথা বলার পর রাতে বাড়ি ফেরার সময় ফোনের ব্যাটারি আইকনে জ্বলছে লালবাতি। ওদিকে পথ তখনও অনেকটা বাকি। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল ফোনটা। বার বার ডায়াল করেও না পেয়ে উৎকণ্ঠায় বাড়ির লোকজন। আর পথে যদি একটু দেরি হয় তাহলে তো কথাই নেই। চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ ফোন বন্ধ হয়ে গেলে বিশেষ করে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন মহিলারা। মার্কিন গবেষকদের পরীক্ষা সফল হলে অবিলম্বে মিটতে চলেছে এই দুর্ভোগ।
সংবাদসংস্থাকে এই প্রকল্পের এক গবেষক জানিয়েছেন, আমাদের চারিদিকে রয়েছে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের বিভিন্ন উৎস। টিভি টাওয়ার, মোবাইল ফোনের টাওয়ার, রেডিও স্টেশনের অ্যান্টেনা তৎড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বিকিরণ করে। সেগুলিকে কাজে লাগিয়ে চলবে এই ফোন।’
পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি ফোনটি যদিও দেখতে মোটেও ভাল নয়। প্রাথমিক ভাবে দেখলে মনে হবে পাতি একটি সার্কিট বোর্ড। ব্যাটারি ছাড়া এই ফোনে কথা বলতে গেলে ব্যবহার করতে হবে হেডফোন বা ইয়ারফোন। অ্যান্টেনা হিসাবে কাজ করবে সেটি। ওয়াকিটকির মতো এই ফোনে কথা বলা যাবে একদিকে। একটি বোতাম টিপলে আপনার কথা শুনতে পাবেন উলটো দিকে থাকা ব্যক্তি, বোতামটি ছাড়লে আপনি তার কথা শুনতে পাবেন।
প্রাথমিক গবেষণায় সাফল্য মেলার পর এবার ফোনের লো – পাওয়ার স্ক্রিন ও সাধারণ ক্যামেরা লাগানোর চেষ্টা করছেন গবেষকরা। এমনকী সৌর প্যানেল ব্যবহার করে শক্তি সরবরাহের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।
ফোনটি বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি হতে এখনো ৮ – ৯ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, অদূর ভবিষ্যতে সমস্ত ফোনেই থাকবে ব্যটারিলেস ফিচার।