সম্প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি বিকৃত করার কথিত অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক আগৈলঝরা বর্তমানে বরগুনা সদর এর ইউএনও জনাব গাজী তারেক সালমান এর জামিন না মঞ্জুর/ মঞ্জুর বিষয়টি বিভিন্ন মহল, গণমাধ্যম এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পুুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পুুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন মনে করে ভিত্তিহীন অভিযোগে কর্মরত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের এবং পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর উদাসীনতার কারণে উক্ত কর্মকর্তাকে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে তা অগ্রহনযোগ্য এবং নিন্দনীয়। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন ইউএনও জনাব গাজী তারেক সালমান এর প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছে। কতিপয় মহল থেকে “পুলিশ কিভাবে মামলা নিল? পুলিশ মামলা নিল কেন ? পুলিশ তাকে কেন গ্রেফতার করল ?” এ ধরণের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো এই যে, বর্ণিত বিষয়ে কোন থানায়ই কোন মামলা রুজু হয়নি এবং পুলিশ জনাব গাজী তারেক সালমান (ইউএনও) কে গ্রেফতারও করেনি। প্রকৃত তথ্য হলো কথিত অবমাননার অভিযোগে অভিযোগকারী বিজ্ঞ আদালতে দঃবিঃ ৫০১ ধারায় সিআর মামলা নং ৪২৭/১৭ রুজু করেন। সিআর মামলা রুজু করলে আদালত থেকে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারী করা হয়। সমনের প্রেক্ষিতে জনাব গাজী তারেক সালমান আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেন। এক্ষেত্রে কোন পর্যায়েই পুলিশের কোন ভূমিকা রাখার অবকাশ ছিল না। কোন কোন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে “পুলিশ কেন তাকে হাতকড়া পড়াল ?” মর্মেও কতিপয় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা সঠিক নয়। পুলিশ জনাব গাজী তারেক সালমানকে কোন হাতকড়া পড়ায়নি। গাজী তারেক সালমানের সাথে পুলিশের ছবি ভালভাবে পর্যালোচনা করলে বিষয়টি সুষ্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হবে। যেহেতু এ বিষয়ে প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিওসহ নানা ধরণের দালিলিক প্রমান রয়েছে সেহেতু কোন ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কারও কারও বক্তব্যে পুলিশ রেগুলেশনের ৩৩০ বিধি অমান্যপূর্বক জনাব গাজী তারেক সালমান এর উপর বল প্রয়োগ করে টেনে হেচঁড়ে কোর্ট হাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে যা তথ্য নির্ভর নয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, পুলিশ এক্ষেত্রে কোনভাবেই বল প্রয়োগ কিংবা টেনে হেচঁড়ে নিয়ে যায়নি। এ প্রসংগে জনাব গাজী তারেক সালমান কর্তৃক বিবিসিকে দেয়া বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো- “আমাকে ঠিক গ্রেফতার করা হয়নি,আমার জামিনের আবেদন কোর্টে না মঞ্জুর করা হয়। তারপর আমাকে কোর্টের গারদ খানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। তখন আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম দয়া করে আমাকে একটু সময় দিন, আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর সুযোগ দিন। আমার অনুরোধে পুলিশ আমার কর্র্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেন।”
সারাদেশে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে জননিরাপত্তা রক্ষাসহ নাগরিক সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন মনে করে আগামীতেও পুলিশ বিভাগের প্রতিটি সদস্য পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে প্রশাসন ক্যাডারসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধির আলোকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাবে।