ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। ক্রিমিয়া ইস্যুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিরোধ চলছে অনেক দিন ধরেই। আর যেখানে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্ররা। নতুন করে অস্ত্র বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে মার্কিন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের টানপোড়ন পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এ অনুমোদনের অধীনে ইউক্রেনের কাছে স্নাইপার রাইফেল ও অন্যান্য হালকা অস্ত্র মিলিয়ে মোট চার কোটি ১০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রি করা হবে। যদিও ইউক্রেন ভারী অস্ত্র চাওয়ার পরও তাতে এবার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। এরপর ইউক্রেনের জন্য এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালানের অনুমোদন দিল মার্কিন প্রশাসন।
ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে ট্রাম্পের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হলো বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা—রিপাবলিকান শিবিরের কঠোরতা শিথিল করে ট্রাম্প রাশিয়াকে সহায়তা করতে চাইছেন বলে এত দিন যেসব অভিযোগ নিয়ে কথা চলছে, সেগুলো সম্ভবত সত্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকাল থেকেই ট্রাম্পের রাশিয়াপ্রীতি নিয়ে নানা কথাবার্তা চলছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সহযোগীদের আঁতাতের অভিযোগ নিয়ে বর্তমানে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরো (এফবিআই)।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অবশ্য দাবি করছে, ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন স্রেফ বাণিজ্যিক লেনদেনের অংশ। উপরন্তু মার্কিন কংগ্রেস মূলত ২০১৪ সালেই এসংক্রান্ত নথিপত্রে অনুমোদন দিয়ে গিয়েছিল।
‘ইউক্রেন মুক্তি সমর্থন আইন ২০১৪’ অনুসারে সেটা করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রশাসন এর প্রয়োগ ঘটায়নি। ট্রাম্প এবার ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রির যে অনুমোদন দিয়েছেন, সেটা নতুন কিছু নয়, বরং ওই আইনের প্রয়োগ বলে জানায় পররাষ্ট্র দপ্তর।