গত ৮ জানুয়ারি তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনালের একটি বিমান। ঐ ঘটনায় ১৭৬ জন আরোহী মারা যায়, যেখানে ৫৭ জন আরোহীই ছিল কানাডীয়।
তেহরানের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ জন আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার ভাষায় ট্রাম্প ও ইরানি নেতাদের মধ্যে উত্তেজনার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে যদি উত্তেজনা বৃদ্ধি না পেতো তাহলে ইরানি মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমান ভূপাতিত হতো না এবং বিমানের আরোহীরা ‘এখন তাদের পরিবারের সঙ্গে’ থাকতো।
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে বড় ইস্যু নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু দেশ তাদের মিত্রদের না জানিয়েই পদক্ষেপ নেয়।
এর কয়েকদিন আগে ৩ জানুয়ারি মার্কিন এক বিমান হামলায় ইরাকে নিহত হন জেনারেল সোলাইমানি। ওই হামলার জবাবে ৮ জানুয়ারি ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায় ইরান।
ওই সময় ইরানের ছোঁড়া মিসাইলে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ইরান শুরু থেকেই ওই বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে। কিন্তু পরে দেশটি জানায়, ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলে’ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।