দলের প্রাণ ভোমড়া লিওনেল মেসিকে ছাড়াই ইকুয়েডরকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা। মেসি ছাড়াও দলে ছিলেন না পরীক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমার সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারাও। এদের ছাড়াই দুর্দান্ত দুইটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। যা কি না আশা জাগাচ্ছে দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনির মনে।
এর আগে শক্তিশালী জার্মানির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করলেও মাঠে ছিলো অসাধারণ প্রদর্শনী। এক ড্র ও এক জয়ের এই আন্তর্জাতিক সফর থেকে যা চেয়েছিলেন, ঠিক তাই করতে পেরেছেন বলে জানান আর্জেন্টাইন কোচ। এছাড়া দলের তরুণ খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের জার্সির মান-মর্যাদাটা বুঝতে পারায় উচ্ছ্বসিত স্কালোনি।
শুরু থেকে আক্রমণের খেলা শুরু করে। ২০ মিনিটে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লুকাস আলারিও। সাত মিনিট পর আকুনার ক্রস জন এস্পিনোসার গায়ে লেগে জালে বল জড়ায়। প্রথমার্ধেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
বিরতি থেকে ফিরে চার মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ায় ইকুয়েডর। এরপর ইকুয়েডরের জালে গুনে গুনে আরো তিনবার বল পাঠায় আলবিসেলেস্তেরা।
৬৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ইকুয়েডর আরও পিছিয়ে পড়ে। পাউলো দিবালার চমৎকার ফ্রি কিক বেশ ঠাণ্ডা মাথায় দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন অরক্ষিত জার্মেন পেজ্জেয়া। ৮২ মিনিটে আরেকটি ফ্রি কিক নৈপুণ্যে পঞ্চম গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। গুইদো রোদ্রিগেসের ফ্রি কিক বক্সে ঢুকলে দারুণ শটে দেশের জার্সিতে প্রথম গোল করেন নিকোলাস দোমিঙ্গেস।
আরও একবার গোল উদযাপনে মাতে আর্জেন্টিনা। ৮৬ মিনিটে মাতিয়াস ভার্গাসের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ওরতিজ। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী লুকাস ওকামপোস ৬ গজ দূর থেকে ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন।