ডিএমপি নিউজ: ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। আজ ২৭ জুলাই ২০২২ বুধবার এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যু বরণ করেছিলেন।
এক নজরে ইতিহাসের পাতায় ২৭ জুলাই ঘটনাবলি:
১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৭৭২- পোল্যান্ডকে বিভক্ত করার জন্য ইউরোপের তিনটি বৃহৎ শক্তির মধ্যে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৭১- প্রশাসনের সুবিধার্থে মুজিবনগর সরকার সমগ্র দেশকে ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে।
২০০৫- আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়ে।
২০০৭- ঢাকা-মিয়ানমার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চুক্তি স্বাক্ষর।
আজকে যাদের জন্ম হয়:
১৯০৯- ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য।
১৯১৩- ভারতীয় বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ কল্পনা দত্ত।
১৯২২- ভারতের বাঙালি লোকসংগীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার নির্মলেন্দু চৌধুরী।
১৯৭১- বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম তার। ১৯৭৫ সালে তার নানা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পরে, জয় মায়ের সঙ্গে জার্মানি এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি স্হায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বাস করছেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ ২০১৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।
১৯৯০- ভারতীয় অভিনেত্রী কৃতি স্যানন।
আজকে যাদের মৃত্যু হয়:
১৮৪১- রুশ কবি ও ঔপন্যাসিক মিখাইল লেরমন্তভ।
১৯৩১- ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য।
১৯৮৭- বিখ্যাত ভারতীয় পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী সালিম আলী।
১৯৯২- জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং পরিচালক আমজাদ খান।
২০১৫- ভারতীয় বিজ্ঞানী, ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি এ. পি. জে. আবদুল কালাম। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির (অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের) রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাঙ্গঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।