সবচেয়ে বেশি বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ তারাই এ বারের টুর্নামেন্টের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছে। মাদ্রিদে শনিবার শুরু হতে যাওয়া এ বারের ফাইনালে স্পেনের কোনও ক্লাব নেই। এ বার অল-ইংল্যান্ড ফাইনাল। ২০০৮ সালের পরে প্রথম বার। সে বার চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
এ বার আবার ইউরোপা লিগেও ফাইনালিস্ট দুই ক্লাব ছিল ইংল্যান্ডের। ইউরোপের ফুটবল ইতিহাসে কোনওবার এই দুই ফাইনাল শুধু ইংল্যান্ডের ক্লাব খেলেনি। ইউরোপায় আর্সেনালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চেলসি। এখন দেখার শনিবার মাদ্রিদে লিভারপুল বনাম টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে কারা শেষ হাসি হাসে।
এ বারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের পয়েন্ট টটেনহ্যামের থেকে ২৬ বেশি। তার উপর মহম্মদ সালাহ, সাদিয়ো মানেরা গোল করেছেন ৮৯টি। সেখানে টটেনহ্যামের মোট গোল ৬৭।
প্রিমিয়ার লিগেও এ বার টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচই জিতেছে লিভারপুল। শুধু তাই নয়, সালাহরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ, পোর্তো এবং লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনাকে চূর্ণ করে। পাশাপাশি টটেনহ্যাম কার্যত হোঁচট খেতে খেতে ফাইনালে উঠেছে। তাদের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনও স্বীকার করেছেন, ভাগ্যের সাহায্য না পেলে তাদের ফাইনালে খেলার কথা নয়।
তার পরেও একটা-দু’টো অসম্ভবের কথা কেউ কেউ বলছেন। সবার আগে তারা মনে করাচ্ছেন, প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় ম্যাচে লিভারপুলের বিরুদ্ধে টটেনহ্যামের অসাধারণ ফুটবলের কথা। কেউ কেউ আবার মনে করাচ্ছেন, লিভারপুলের ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপের অতীত রেকর্ড। এর আগে তিনি নিজের কোচিংয়ে থাকা ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জেতাতে পারেননি।
এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ক্লপের তৃতীয় লড়াই। এর আগে তার ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ফাইনালে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। গত বার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছে।