সফরকারীদের অপয়া দিনটি অবশ্য বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি দিন। তাদের ১১১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার প্রতিপক্ষকে ফলো অনে ব্যাট করতে পাঠায় সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টার মতোই নখদন্তহীন ছিলো ক্যারিবীয় ব্যাটিং। প্রথম ঘণ্টায় প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়া উইন্ডিজ প্রথম সেশনের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে হারায় ৪ উইকেট! তাতে তৃতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজনের আগে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ (২-০) করার ঐতিহাসিক সুযোগটি রূপ নেয় সম্ভাবনায়।
বিরতির পর হেটময়ার প্রতিরোধ দেওয়ার চেষ্টা করলেও মিরাজ, সাকিব আর তাইজুলদের স্পিনে পুরোপুরি ঘায়েল হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গুটিয়ে গেছে ২১৩ রানে। এই জয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডটিও ঘটলো প্রথমবার!
প্রথম ইনিংসে ৭ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড এখন মিরাজের দখলে। লুইসকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল নিয়েছেন ৩ উইকেট। সাকিব প্রথম ইনিংসে তিনটি আর এই ইনিংসে নেন ১টি উইকেট। এছাড়া নাঈম নেন ১টি। সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসান, আর ম্যাচ সেরা ১২ উইকেট নেওয়া মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর প্রথম ইনিংস: বাংলাদেশ ৫০৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ১১১, দ্বিতীয় ইনিংস ২১৩।