ইরানের সামরিক বাহিনী সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
৭ই জুন রাজধানী তেহরানে জোড়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তিন দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো অন্য কোনো দেশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো ইরান। ইরানের ইসলামী রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নিজেদের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে বলেছে, মধ্যপাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে পশ্চিম ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশ থেকে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, এই অভিযানে পূর্বাঞ্চলীয় সিরিয়ার দের এজর অঞ্চলে ‘তাকফিরি’ বাহিনীকে টার্গেট করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আইএস’কে তাকফিরি বলে সম্বোধন করে ইরান। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে ৭ই জুনের সন্ত্রাসী হামলাটির দায় স্বীকার সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। ওই দুই হামলা ছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটির ইরানে প্রথম হামলা। হামলায় ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পুরোধা আয়াতুল্লাহর মাজার ও দেশের পার্লামেন্টকে টার্গেট করা হয়। ওই হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই ইরান আইএসের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরান দেশটির সরকারকে সমর্থন দেয়। ইরান বলছে, তেহরানে যারা হামলা চালিয়েছে তাদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীও শক্তিশালী হবে।’
ইরান কখনই সিরিয়ার আসাদ সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন থেকে পিছপা হয়নি। কিন্তু এতদিন ধরে তারা আমাদেরকে বলতো যে, সামরিক উপদেষ্টা, স্বেচ্ছাসেবী ও অর্থ দিয়েই সহায়তা চালিয়ে আসছে ইরান। কিন্তু এবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভিন্ন ইঙ্গিতই দিলো ইরান।