মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার রাতে আবার দাবি করেছেন, ইরান তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। তিনি হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইরানি কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে সাক্ষাত করতে আগ্রহী।”
ট্রাম্প গত বুধবারও দাবি করেছিলেন, ইরান তার সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি নয়া পরমাণু চুক্তি সই করতে চায়। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিজের ভুলের সংশোধনের জন্যই তিনি এখন ইরানের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে আলোচনা করতে চান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশাপাশি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত কয়েক মাসে অসংখ্যবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার এই জল্পনা সম্পর্কে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দেশের নীতি-অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি গত ২৬ জুন এক ভাষণে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ইরানের শক্তিমত্তা ও প্রভাব কমিয়ে তেহরানকে নিরস্ত্র করে ফেলার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়।
তিনি আরো বলেন, ইরানের সামরিক শক্তির কারণে মার্কিনীরা এদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে ভয় পাচ্ছে; তাই তারা আলোচনায় বসে এই শক্তি খর্ব করতে চায় যাতে ভবিষ্যতে তারা ইরানকে নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারে।এ কারণে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো আলোচনা হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন।